চার হাসপাতালকে জরিমানা, ভুয়া ডাক্তারের ছয় মাসের দণ্ড

নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালী জেলা শহরের হাসপাতাল সড়ক এলাকায় প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডাক্তার চেম্বারে মঙ্গলবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং কামরুল হাসান নামে এক ভুয়া ডাক্তারকে আটক করে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রোকনুজ্জামান খান এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে সহযোগীতা করেন নোয়াখালীর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার দীপন চন্দ্র মজুমদার, বি এম এ প্রতিনিধি ডা. শিবলী, ড্রাগ সুপার ইমরান হাসান, জাতীয় অধিকার সংরক্ষণ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা ও সুধারাম থানা পুলিশ।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রোকনুজ্জামান খান জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেন্ট্রাল হাসপাতালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৫২ ধারায় ৯০ হাজার টাকা, স্কয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ড্রাগ আইন ১৯৪০-এর ২৭ ধারায় ৩০ হাজার টাকা, এশিয়া হাসপাতাল ও ট্রমা সেন্টারকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারায় ৬০ হাজার টাকা ও মাতৃছায়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ড্রাগ অ্যাক্ট ১৯৪০-এর ২৭ ধারায় ৩০ হাজার টাকাসহ মোট ২ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০-এর ২৯ ধারায় স্কয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে কামরুল হাসান নামে এক ভুয়া সনদধারী ডাক্তারকে আটক করা হয় এবং তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ছাড়া, মেডিক্যাল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরি (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮২-এর ৯ ধারা অনুযায়ী যতদিন পর্যন্ত লাইসেন্সের শর্ত পূরণ না হবে ততদিন পর্যন্ত এশিয়া হাসপাতাল ও ট্রমা সেন্টার এবং মাতৃছায়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বন্ধ রাখার জন্য মালিক পক্ষের অঙ্গীকার নেওয়া হয়।